অগ্রদৃষ্টি ডেস্কঃ ঝালকাঠিতে টোল আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত টোল কর্মচারী জাহিদের লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। আজ সকাল ৯ টায় পৌর এলাকার গাবখান সেতু সংলগ্ন মাদ্রসায় জানাজা শেষে জাহিদের লাশ নিয়ে মিছিল করে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। পরে গাবখান সেতুর টোল ঘরের সামনে বরিশাল-খুলনা মহাসড়ক আধাঘন্টা অবরোধ করে রাখেন তারা। এঘটনায় তারা মিজান ও তার খালাত ভাই মিরাজ কে খুনি দাবি করে বিচার চায়।
জানা যায়, গত ১০মে সন্ধ্যা ৭টায় ঝালকাঠির গাবখান ব্রীজের টোল আদায়কারী জাহিদ স্থানীয় ট্রলি মালিক মিজানের কাছে টোলের টাকা চাইলে এ নিয়ে মিজানের সাথে তার বাকবিতন্ডা হয়। পরে মিজান ও তার সাথে থাকা পশ্চিম ঝালকাঠি এলাকার মিরাজ উত্তেজিত হয়ে জাহিদকে রড দিয়ে এলোপাথারীভাবে মারধর করে। পরে জাহিদকে গুরুত্বর আহত অবস্তায় উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। অবস্থা বেগতিক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠায়। পরে সেখান থেকে জাহিদকে ঢাকায় পাঠানো হয়। জাহিদ রবিবার দুপুর দেড়টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। সোমবার রাত সাড়ে ১২ টায় জাহিদের মরদেহ এলাকায় পৌঁছলে হৃদয় বিদারক অবস্থার সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে আজ সকাল থেকেই বিক্ষোভে ফেটে পরে এলাকাবাসী। তারা ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।
এতে মহাসড়কে দুই পাশে অসংখ্য যানবাহন আটকে পড়ে। পরে খবর পেয়ে টোল ইজারাদার ঝালকাঠি চেম্বার অব কামর্স এন্ড ইন্ডাষ্টিজ এর সভাপতি মাহবুব হোসেন, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি আব্দুল হালিম তালুকদার ও এসআই সরোয়ার ঘটনাসস্থলে গিয়ে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে। এসময় তাদের আশ্বাসে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অবরোধ প্রত্যাহার করেন। এ ঘটনায় জাহিদের পিতা ফারুক হোসেন হাওলাদার বাদী হয়ে ঝালকাঠি সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।